বর্ধমান খবরঃ কেউ বলছেন কাকতলীয়, কেউ বলছেন বিরল ঘটনা। সত্যিই তাজ্জব হওয়ার মতই কাণ্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮টি যমজ সন্তানের জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে ১১জন কন্যাসন্তান। বাকি সাতজন পুত্রসন্তান।
![]() |
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮টি যমজ সন্তানের জন্ম |
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাদের নাম দিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কোনও যমজের নাম দেওয়া হয় লক্ষ্মী-সরস্বতী আবার কারও নাম হয় কার্তিক-গণেশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, এধরনের নজির আমাদের এখানে নেই। সবক'টি শিশুই সুস্থ রয়েছে। মায়েরাও সুস্থ আছেন। কয়েকজন রেফার হয়ে এসেছিলেন। অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আটজন মায়ের সিজার করা হয়েছে। একজনের নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে অপারেশন শুরু হয়। জন্মানোর পর দেখা যায় পাঁচজন শিশুর ওজন কম রয়েছে।
Bardhaman বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ টি যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগে কোনও হাসপাতালে বা কোথাও এমনটা ঘটেছে বলে কোনও নজির কেউ মনে করতে পারছেন না।তাদের আইসিইউয়ে রেখে চিকিৎসা চলছে। বাঁকুড়া, হুগলি, নদীয়া এবং ঝাড়গ্রাম থেকে প্রসূতিরা এসেছিলেন। চিকিৎসক মলয় সরকার বলেন, সাধারণত ৮০ জনের মধ্যে একটি যমজ সন্তান হয়। এমএসভিপি বলেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এর আগেও বহু ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসক এবং নার্সরা অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেন। তার সুফল বারবার পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক মাস আগে এক মায়ের প্রসব করিয়ে চিকিৎসকরা নজির সৃষ্টি করেছিলেন। ওই প্রসূতি বিরল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে কয়েক মাস ভর্তি রেখে অপারেশন করা হয়। বুধবার রাত থেকে ন'জন মায়ের যমজ সন্তান হওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন। কাইতির এক মহিলার যমজ সন্তান হয়েছে। তাঁর এক আত্মীয় বলেন, সরকারি হাসপাতালের এই পরিষেবা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে সরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা অনেক বেড়ে যাবে।
হাসপাতালের এক সুপ্রতিক বসু চিকিৎসক জানান, সদ্যোজাতদের ওজন ২ কেজি থেকে ২ কেজি ২০০ গ্রামের মধ্যে রয়েছে। এদের বাবা-মায়ের কারও বাড়ি বাঁকুড়া, কারও বাড়ি হুগলি কিংবা নদিয়ায়। ঝাড়গ্রাম থেকেও এক জন এসেছিলেন প্রসবের জন্য। পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’জন প্রসূতিও রয়েছেন এই তালিকায়।
0 Comments