সেখ মহাঃ সামিম sms ডেক্সঃ পূর্ব বর্ধমান : ট্র্যাফিক ওসিকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল বর্ধমান টাউন সার্ভিস বাস ও মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে৷
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান স্টেশন এলাকায়৷ বাসকর্মীদের অভিযোগ , বেশ কিছু দিন ধরেই ট্র্যাফিক ওসি তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন৷ তারই প্রতিবাদে এ দিন স্টেশন চত্বরে নবাবহাট থেকে আলিশা ও পূর্তভবন রুটের সমস্ত টাউন সার্ভিস বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বর্ধমান সদর ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়৷ সেই সময়ই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ বাসকর্মীরা অবশ্য হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘আমার বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার বা কাউকে মারধরের কোনও অভিযোগ থাকলে ওঁদের প্রমাণ দিতে বলুন৷ বেআইনি ভাবে পার্কিং করলে বা গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে আইন মেনেই আমি জরিমানা আদায় করেছি৷ পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি৷ ’ জেলার পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল বলেন , ‘বেআইনি পার্কিং বা গাড়িতে সমস্ত কাগজ না থাকলে পুলিশ জরিমানা আদায় করবে৷ এতে কারও আপত্তি থাকলে রাস্তায় গাড়ি না নামানোই ভালো৷ আর বাসকর্মীরা মারধরের যে অভিযোগ করছেন , তাঁরা কেন থানায় এসে অভিযোগ জানাননি৷ প্রশাসক কড়া হলেই কী জটিলতা সৃষ্টি করতে হবে ?’শহরে যত্রতত্র টাউন সার্ভিস বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা , বেআইনি পার্কিং , বিনা কাগজে গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা আদায় করছেন ট্র্যাফিক ওসি৷ এনিয়ে বাসকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে৷ যদিও বাসকর্মীদের অভিযোগ , ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় অকারণে তাঁদের গায়ে হাত তুলছেন৷ বাস থেকে নামিয়ে মারধর করছেন৷ এরই প্রতিবাদে এ দিন বাস দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ পরিস্থিতি উত্তন্ত হলে সেখানে পৌঁছন এলাকার কাউন্সিলর তথা টাউন সার্ভিস বাস ও মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান৷ তিনি উত্তেজিত কর্মীদের সংযত করেন৷ ট্র্যাফিক বিভাগের ডিএসপি -র সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন৷ সেলিম বলেন , ‘অশান্তির খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই৷ ট্র্যাফিক ওসির বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ , উনি বারেবারেই কর্মীদের গায়ে হাত তুলছেন৷ এর আগেও আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম৷ কোনও কাজ না হওয়াতেই কর্মীরা ক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ ডিএসপি ট্র্যাফিক আমাকে বলেছেন , ছট পুজো মিটলেই উনি আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলবেন৷ ’সংগঠনের সহ সম্পাদক মিলন দাস বলেন , ‘বিনা কারণে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে৷ কয়েক দিন আগেই আমাদের এক কর্মীকে মেরে হাত ফাটিয়ে দিয়েছেন৷ কর্মীরা কাজ করতে চাইছেন না৷ আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি৷ আমাদের বিরুদ্ধে যে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়৷ ’ তবে অনেক গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মিলন৷ তিনি বলেন , ‘বিনা পারমিটে এই মুহূর্তে ১২টি গাড়ি চলছে৷ সেটা দেখার কাজ তো আমাদের নয়৷ আরটিও দেখুক৷ বাস মালিকরা যখন পারমিটের জন্য যাচ্ছেন , তখন কেন তাঁরা গাড়ি পরীক্ষা করে দূষণ হচ্ছে কি না সেটা দেখছেন না৷ আমাদের লাইসেন্স না থাকলে উনি জরিমানা করুন৷ কিন্ত্ত গায়ে হাত তুলছেন কেন৷ নবাবহাট থেকে আলিশা পর্যন্ত ২২টি স্টপেজ করা হয়েছে৷ স্টপেজ বোর্ড লাগানোর কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সেটা হয়নি৷ যাত্রীরা হাত তুললে বাস দাঁড়ায় এটা ঠিক৷ স্টপেজ বোর্ড না লাগিয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেন ?’বর্ধমান স্টেশন এলাকাওসিকে শাসাচ্ছেন এক বাসকর্মী ।
News Update:
Sk Md Samim sms
॥প্রতিটি তাজা আপডেট পেতে Facebook Page এ search করুন Sk Md Samim sms এবং Like করুন ॥
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান স্টেশন এলাকায়৷ বাসকর্মীদের অভিযোগ , বেশ কিছু দিন ধরেই ট্র্যাফিক ওসি তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন৷ তারই প্রতিবাদে এ দিন স্টেশন চত্বরে নবাবহাট থেকে আলিশা ও পূর্তভবন রুটের সমস্ত টাউন সার্ভিস বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বর্ধমান সদর ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়৷ সেই সময়ই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ বাসকর্মীরা অবশ্য হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘আমার বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার বা কাউকে মারধরের কোনও অভিযোগ থাকলে ওঁদের প্রমাণ দিতে বলুন৷ বেআইনি ভাবে পার্কিং করলে বা গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে আইন মেনেই আমি জরিমানা আদায় করেছি৷ পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি৷ ’ জেলার পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল বলেন , ‘বেআইনি পার্কিং বা গাড়িতে সমস্ত কাগজ না থাকলে পুলিশ জরিমানা আদায় করবে৷ এতে কারও আপত্তি থাকলে রাস্তায় গাড়ি না নামানোই ভালো৷ আর বাসকর্মীরা মারধরের যে অভিযোগ করছেন , তাঁরা কেন থানায় এসে অভিযোগ জানাননি৷ প্রশাসক কড়া হলেই কী জটিলতা সৃষ্টি করতে হবে ?’শহরে যত্রতত্র টাউন সার্ভিস বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা , বেআইনি পার্কিং , বিনা কাগজে গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা আদায় করছেন ট্র্যাফিক ওসি৷ এনিয়ে বাসকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে৷ যদিও বাসকর্মীদের অভিযোগ , ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় অকারণে তাঁদের গায়ে হাত তুলছেন৷ বাস থেকে নামিয়ে মারধর করছেন৷ এরই প্রতিবাদে এ দিন বাস দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ পরিস্থিতি উত্তন্ত হলে সেখানে পৌঁছন এলাকার কাউন্সিলর তথা টাউন সার্ভিস বাস ও মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান৷ তিনি উত্তেজিত কর্মীদের সংযত করেন৷ ট্র্যাফিক বিভাগের ডিএসপি -র সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন৷ সেলিম বলেন , ‘অশান্তির খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই৷ ট্র্যাফিক ওসির বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ , উনি বারেবারেই কর্মীদের গায়ে হাত তুলছেন৷ এর আগেও আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম৷ কোনও কাজ না হওয়াতেই কর্মীরা ক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ ডিএসপি ট্র্যাফিক আমাকে বলেছেন , ছট পুজো মিটলেই উনি আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলবেন৷ ’সংগঠনের সহ সম্পাদক মিলন দাস বলেন , ‘বিনা কারণে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে৷ কয়েক দিন আগেই আমাদের এক কর্মীকে মেরে হাত ফাটিয়ে দিয়েছেন৷ কর্মীরা কাজ করতে চাইছেন না৷ আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি৷ আমাদের বিরুদ্ধে যে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়৷ ’ তবে অনেক গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মিলন৷ তিনি বলেন , ‘বিনা পারমিটে এই মুহূর্তে ১২টি গাড়ি চলছে৷ সেটা দেখার কাজ তো আমাদের নয়৷ আরটিও দেখুক৷ বাস মালিকরা যখন পারমিটের জন্য যাচ্ছেন , তখন কেন তাঁরা গাড়ি পরীক্ষা করে দূষণ হচ্ছে কি না সেটা দেখছেন না৷ আমাদের লাইসেন্স না থাকলে উনি জরিমানা করুন৷ কিন্ত্ত গায়ে হাত তুলছেন কেন৷ নবাবহাট থেকে আলিশা পর্যন্ত ২২টি স্টপেজ করা হয়েছে৷ স্টপেজ বোর্ড লাগানোর কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সেটা হয়নি৷ যাত্রীরা হাত তুললে বাস দাঁড়ায় এটা ঠিক৷ স্টপেজ বোর্ড না লাগিয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেন ?’বর্ধমান স্টেশন এলাকাওসিকে শাসাচ্ছেন এক বাসকর্মী ।
News Update:
Sk Md Samim sms
॥প্রতিটি তাজা আপডেট পেতে Facebook Page এ search করুন Sk Md Samim sms এবং Like করুন ॥
0 Comments