কোষাগার চুরি কাণ্ডে জাল গোটাচ্ছে পুলিশ
|
সেখ মহাঃ সামিম.sms ডেক্সঃ বর্ধমান : পূর্ব বর্ধমানের সরকারি কোষাগার ভবন থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তের জাল প্রায় গুটিয়ে এনেছে বলে খবর৷ পুলিশ জানতে পেরেছে , বর্ধমানের পাশাপাশি বীরভূম ও হুগলি জেলাতেও টাকা চুরির জাল ছড়িয়েছে৷ ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের দু’টি দল বীরভূম ও হুগলিতে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ চোর ও চুরি যাওয়া টাকার নাগাল শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা৷ যদিও সে টাকা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে নারাজ পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল৷ তাঁর বক্তব্য , ‘চার সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে৷ ’ এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের কাজে উঠেপড়ে লেগেছে জেলা পুলিশ৷ সব তথ্য হাতে এলেই টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী পুলিশ৷ সরাসরি না বললেও চোর শনাক্ত করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ৷ এই ঘটনার তদন্তের রাশ প্রথম থেকেই নিজের হাতে রেখেছেন পুলিশ সুপার৷ বাছাই করা পুলিশকর্তাদের নিয়ে তৈরি করেছেন তিনটি তদন্তকারী দল৷ এই দলগুলিই টাকা উদ্ধারের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর ,কোষাগারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মীই চুরির মূলচক্রী৷ কয়েকদিন ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে৷ প্রথম দিকে পুলিশকে সে বিভ্রান্ত করলেও পরে অনেক কথাই স্বীকার করেছে৷ জানা গিয়েছে ওই পুলিশকর্মীর অতীত রেকর্ড ভালো না হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল৷ প্রথমে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়৷ তবে গতিবিধিতে সন্দেহ হওয়ায় ফের তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়৷ তার পর থেকেই কার্যত নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে তাকে৷ অন্যদিকে আরও তিনজনকেও ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর , তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চুরি যাওয়া টাকার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ৷ সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এলে এবং টাকা উদ্ধার হলেই তাদের গ্রেন্তার করা হবে৷ পুলিশ সুপারের আশ্বাস , ‘অনেক তথ্যই হাতে এসেছে৷ সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন , সব কিছু জানা যাবে৷ ’ ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মুখ্য ডাকঘর থেকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা কোষাগার ভবনের লোহার সিন্দুকে রাখা হয়েছিল৷ ২৯ সেপ্টেম্বর টাকা বের করতে গেলে দেখা যায় সিন্দুক ভাঙা৷ সেখান থেকে ৫৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা উধাও৷ এর পরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়৷ ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর চুরির কিনারা করতে চলেছে পুলিশ৷ তবে কোষাগারের সিসিটিভি ফুটেজ এখনও পুলিশের হাতে দিতে পারেননি কোষাগার কর্তৃপক্ষ৷ চুরির কিনারা প্রায় শেষ তদন্তকারীদের । |
0 Comments