বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের রেজাল্ট বেরোনোর আগেই বহু ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।
![]() |
Burdwan University |
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর,উত্তরপত্র ও প্রকাশনা বিভাগ (এ্যানসার সিট এণ্ড পাবলিকেশন ডিপার্টমেণ্ট) এ জমা থাকা প্রায়
২০০০ খাতা উইপোকায় কমবেশি নষ্ট করে দিয়েছে । যার মধ্যে প্রায় ১৫০ খাতার প্রায় সিংহভাগই নষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা নজরে আসার পরই শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র আলোড়ন এবং একইসঙ্গে চাপান উতোরও।যদিও খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই সাহা জানান, এব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। এমনকি পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর সূত্রেও তাকে কিছু জানানো হয়নি।
এরই মধ্যে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তৈরী করা হয়েছে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটিও। এমনকি এই ঘটনার খবর বাইরে প্রকাশ হলে করা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জানিয়ে দিয়ে রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে-জুন মাস নাগাদ স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। নিয়ামানুযায়ী এই ধরণের পরীক্ষার সমস্ত খাতাপত্রই পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের অধীন এপি বিভাগে জমা থাকে। মূল্যবান ও দরকারি কাগজ এবং খাতাপত্র থাকার কারণে এপি বিভাগ ছাড়াও অন্য কয়েকটি বিভাগে প্রতি মাসে এজেন্সি মারফত উইপোকা নিধনের জন্য স্প্রে করার ব্যবস্থা করা আছে। কিন্তু সূত্রের খবর,গত ৩ মাস সংশ্লিষ্ট এজেন্সীর টাকা বাকি থাকায় তারা আর স্প্রে করতে আসেনি। আর এরই সুযোগে উইপোকারা নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করে শাসন চালিয়েছে বলে মনে করছে অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সবথেকে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কলা বিভাগের একটি বিষয়ের। ওই বিষয়ের বেশ কিছু খাতা একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা নজরে আসার পরই এসএফআই-ও সরব হয়েছে। এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ জানিয়েছেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা পরিচালন সমিতি এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পূর্ণ উদাসীনতার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের ব্যর্থতার জেরেই আজ বহু পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখনও গ্রাজুয়েটের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।স্বাভাবিকভাবেই ওই উত্তরপত্রের গুরুত্ব অসীম। এমতবস্থায় কার অবহেলায় এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছে এসএফআই। তিনি জানান, এব্যাপারে এসএফআই আন্দোলনে নামতে চলেছে।
0 Comments