Sk Md Samim sms ডেক্সঃ পূর্ব বর্ধমান ‘ভাই কাল কি গানের পরীক্ষা আছে ?’ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে উত্তর পাওয়ার পর আরও দু-একটা কথা৷
’হেডফোন কানে বাইক আরোহীদের জরিমানা বাইক আরোহীর কান থেকে হেডফোন খুলে নিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা ৷
বাইক চালাতে চালাতেই চলছিল কথপোকথন৷ তা দেখে এগিয়ে এসে বাইক থামালেন উর্দিধারী৷ তার পরই কড়া ভাষায় ধমক , ‘এটাই যেন শেষ হয়৷ ’ শুক্রবার সকাল থেকে হেডফোনে কথা বলা বাইক আরোহীদের ধরে এ ভাবেই সচেতন করলেন বর্ধমান সদর ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বীরহাটা থেকে কার্জনগেট এলাকায় একের পর বাইক আরোহীকে দাঁড় করিয়ে কান থেকে হেডফোন খুলে নেন তিনি৷ এদিন ১৩০টিরও বেশি হেডফোন খুলে নেওয়া হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার ) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন , ‘দু’চাকা এবং চার চাকা গাড়ি নিয়ে পুজোর আগে আমরা আরও কঠোর হব৷ হেলমেট , বেআইনি পার্কিং , হেডফোন -সহ নানা বিষয় নিয়ে অভিযান চালানো হবে৷ আমরা বার বারই সচেতন করেছি৷ পুলিশ প্রথমেই কঠোর হয় না৷ শোধরানোর একটা সুযোগ দেয়৷ সেটা আমরা বার বারই দিয়েছি৷ আর নয়৷ এ বার আমরা কঠোর হব ট্র্যাফিকের বিষয়ে৷ ’পথ নিরাপত্তা নিয়ে বর্ধমান শহরে নানা ভাবে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে৷ পুলিশের কড়া নজরদারিতে হেলমেট ব্যবহারের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে৷ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলার জন্যও বারবার সচেতন করা হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও সম্প্রতি শহরের কিছু ছেলেমেয়ে বাইক বা স্কুটি চালানোর সময় হেডফোন কানে কথা বলছেন৷ বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ কর্তাদেরও৷ এমন চলতে থাকলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ নানা ভাবে প্রচার চালানোর পরও বাইক চালানোর সময় ফোনে কথা বলার প্রবণতা না কমায় এদিন অভিযানে নামেন ট্র্যাফিক ওসি৷ এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জিটি রোডের কালীবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল , আলমগঞ্জের বাসিন্দা কাজল সাহা কানে হেডফোন লাগিয়ে বাইক চালাচ্ছিলেন৷ সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁর বাইক দাঁড় করান৷ এর পর কান থেকে হেডফোন খুলে নিয়ে ধমক দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত কাজল হেডফোন ফেরত চাইলে সেটা কিছুটা ছিঁড়ে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন কাজল৷ হেডফোন ছেঁড়ার জন্য উল্টে পুলিশকেই আইন দেখাতে থাকেন৷ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কাজল বলতে শুরু করেন , ‘আমি আইন ভেঙে থাকলে জরিমানা নিন৷ এটা কোম্পানির ওরিজিনাল হেডফোন ছিল৷ ভালো জিনিস ছিঁড়ে দিলেন কেন?’ এর পরই ট্র্যাফিক ওসি তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শো -রুম থেকে নতুন একটি হেডফোন আনিয়ে দেন৷ এতে সন্ত্তষ্ট হয়ে কাজল সাহা চলে যেতে চাইলে ট্র্যাফিক আইন মেনে তাঁকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ এ বার অবশ্য পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েও নিস্তার মেলেনি৷ পুরো টাকা জরিমানা দিয়েই যেতে হয় তাঁকে৷
ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘শহরের মধ্যে এখনও আমরা আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করিনি মানবিকতার খাতিরেই৷ রাস্তায় যাতায়াত করার সময় পুলিশ সুপার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও হেডফোনে কথা বলতে বলতে অনেককে বাইক চালাতে দেখেছেন৷ এদিন আমরা অভিযানে সবাইকে বুঝিয়েছি৷ হেডফোন কানে গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ৷ সেটা বোঝানোর পরও উনি আইন দেখালেন৷ তাই আমরাও আইন মেনেই পদক্ষেপ করেছি৷
Report : Sk Md Samim sms
|
|
|
0 Comments