SK MD SAMIM SMS --- BARDHAMAN NEWS

Hot Posts

6/recent/ticker-posts

পূজার মুখে পথ নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে পুলিশ

Sk Md Samim sms ডেক্সঃ পূর্ব বর্ধমান ‘ভাই কাল কি গানের পরীক্ষা আছে ?’ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে উত্তর পাওয়ার পর আরও দু-একটা কথা৷ 

 ’হেডফোন কানে বাইক আরোহীদের জরিমানা বাইক আরোহীর কান থেকে হেডফোন খুলে নিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা ৷

বাইক চালাতে চালাতেই চলছিল কথপোকথন৷ তা দেখে এগিয়ে এসে বাইক থামালেন উর্দিধারী৷ তার পরই কড়া ভাষায় ধমক , ‘এটাই যেন শেষ হয়৷ ’ শুক্রবার সকাল থেকে হেডফোনে কথা বলা বাইক আরোহীদের ধরে এ ভাবেই সচেতন করলেন বর্ধমান সদর ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বীরহাটা থেকে কার্জনগেট এলাকায় একের পর বাইক আরোহীকে দাঁড় করিয়ে কান থেকে হেডফোন খুলে নেন তিনি৷ এদিন ১৩০টিরও বেশি হেডফোন খুলে নেওয়া হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার ) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন , ‘দু’চাকা এবং চার চাকা গাড়ি নিয়ে পুজোর আগে আমরা আরও কঠোর হব৷ হেলমেট , বেআইনি পার্কিং , হেডফোন -সহ নানা বিষয় নিয়ে অভিযান চালানো হবে৷ আমরা বার বারই সচেতন করেছি৷ পুলিশ প্রথমেই কঠোর হয় না৷ শোধরানোর একটা সুযোগ দেয়৷ সেটা আমরা বার বারই দিয়েছি৷ আর নয়৷ এ বার আমরা কঠোর হব ট্র্যাফিকের বিষয়ে৷ ’পথ নিরাপত্তা নিয়ে বর্ধমান শহরে নানা ভাবে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে৷ পুলিশের কড়া নজরদারিতে হেলমেট ব্যবহারের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে৷ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলার জন্যও বারবার সচেতন করা হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও সম্প্রতি শহরের কিছু ছেলেমেয়ে বাইক বা স্কুটি চালানোর সময় হেডফোন কানে কথা বলছেন৷ বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ কর্তাদেরও৷ এমন চলতে থাকলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ নানা ভাবে প্রচার চালানোর পরও বাইক চালানোর সময় ফোনে কথা বলার প্রবণতা না কমায় এদিন অভিযানে নামেন ট্র্যাফিক ওসি৷ এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জিটি রোডের কালীবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল , আলমগঞ্জের বাসিন্দা কাজল সাহা কানে হেডফোন লাগিয়ে বাইক চালাচ্ছিলেন৷ সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁর বাইক দাঁড় করান৷ এর পর কান থেকে হেডফোন খুলে নিয়ে ধমক দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত কাজল হেডফোন ফেরত চাইলে সেটা কিছুটা ছিঁড়ে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন কাজল৷ হেডফোন ছেঁড়ার জন্য উল্টে পুলিশকেই আইন দেখাতে থাকেন৷ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কাজল বলতে শুরু করেন , ‘আমি আইন ভেঙে থাকলে জরিমানা নিন৷ এটা কোম্পানির ওরিজিনাল হেডফোন ছিল৷ ভালো জিনিস ছিঁড়ে দিলেন কেন?’ এর পরই ট্র্যাফিক ওসি তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শো -রুম থেকে নতুন একটি হেডফোন আনিয়ে দেন৷ এতে সন্ত্তষ্ট হয়ে কাজল সাহা চলে যেতে চাইলে ট্র্যাফিক আইন মেনে তাঁকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ এ বার অবশ্য পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েও নিস্তার মেলেনি৷ পুরো টাকা জরিমানা দিয়েই যেতে হয় তাঁকে৷
ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘শহরের মধ্যে এখনও আমরা আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করিনি মানবিকতার খাতিরেই৷ রাস্তায় যাতায়াত করার সময় পুলিশ সুপার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও হেডফোনে কথা বলতে বলতে অনেককে বাইক চালাতে দেখেছেন৷ এদিন আমরা অভিযানে সবাইকে বুঝিয়েছি৷ হেডফোন কানে গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ৷ সেটা বোঝানোর পরও উনি আইন দেখালেন৷ তাই আমরাও আইন মেনেই পদক্ষেপ করেছি৷

Report : Sk Md Samim sms
Author Image

লেখক: [তোমার নাম]

আমি [তোমার নাম], Breaking News Todays-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান লেখক। আমরা আপডেটেড এবং নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করি।

📧 ইমেইল: your@email.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 ফেসবুক | 🐦 টুইটার | 📸 ইনস্টাগ্রাম

Post a Comment

0 Comments